Table of Contents
Toggle1. আয়নীয় ও সমযোজী বন্ধন-সঠিক উত্তরটি বেছে নাও
1.1 LiH অণুতে Li এবং H কোন নোব্ল গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে? a) Ne b) He c) Ar d) Xe
সঠিক উত্তর- b) He
1.2 হাইড্রোজেন ক্লোরাইড -এর গ্যাসীয় অবস্থায় বন্ধনের প্রকৃতি- (a) সমযোজী (b) তড়িৎযোজী (c) আয়নীয় (d) অসমযোজী
সঠিক উত্তর- (b)সমযোজী
1.3 প্রদন্ত কোনটি আয়নীয় যৌগ- a)HCl b)MgCl2 c) CH4 d) CO
সঠিক উত্তর- b)Mg{Cl}_2
1.4 নীচের কোনটি তড়িৎযোজী যৌগ? (a) NH3 (b) H2O (c) CH4 (d) NaH
সঠিক উত্তর-(d) NaH
1.5 সমযোজী যৌগটি হল a) HCl b) NaCl c) LiCl d) CaO
সঠিক উত্তর- a) HCl
1.6 সোডিয়াম পরমাণুর বাইরের কক্ষে ইলেকট্রন সংখ্যা- a) 4 b) 1 c) 6 d) 8
সঠিক উত্তর -b) 1
1.7 ক্লোরিন পরমাণুর বাহিরের কক্ষে ইলেকট্রন সংখ্যা- a) 5 b) 6 c) 7 d) 8
সঠিক উত্তর c) 7
1.8 যে মৌলের অণুতে সমযোজী ত্রিবন্ধন দেখা যায়, সেটি হল-a) H2 b) N2 c) O2 d)C6
সঠিক উত্তর- b) N2
1.9 যে যৌগের অণুতে সমযোজী ত্রিবন্ধন দেখা যায় সেটি হল- a) C2H2 b) CO2 c) C2H2 d) C2H6
সঠিক উত্তর- a) C2H2
1.10 যে জোড়টির যৌগ তড়িৎ বিশ্লেষ্য সেটি হল- a) S এবং O b) Na এবং Cl c) C এবং H d) C এবং O
সঠিক উত্তর- b) Na এবং Cl
1.11 একটি সমযোজী যৌগ হল- a) MgO b) H2O c) KCl d) MgCl2
সঠিক উত্তর- b) H2O
1.12 নীচের কোনটিতে সমযোজী বন্ধন বর্তমান? a) HCl b) NaCl c) LiH d) CaO
সঠিক উত্তর- a) HCl
1.13 সোডিয়াম ক্লোরাইড যৌগের- a) জলীয় দ্রবণে তড়িৎ পরিবহন সম্ভব b) অণুতে সমযোজ্যতা দেখা যায় c) সমাবয়বতা দেখা যায় d) কঠিন অবস্থায় গলনাঙ্ক খুব কম
সঠিক উত্তর- a) জলীয় দ্রবণে তড়িৎ পরিবহন সম্ভব
1.14 একটি ধ্রুবীয় দ্রাবক হল-a) অ্যালকোহল b) বেনজিন c) জল d) কেরোসিন
সঠিক উত্তর- c) জল
1.15 নীচের কোন যৌগ টির মধ্যে কোন অণুর অস্তিত্ব নেই? a) HCl b) CaO c) CH4 d) NH3
সঠিক উত্তর- b) CaO
1.16 আয়নীয় বন্ধন গঠিত হয়- a) দুটি ভিন্ন ধাতব মৌলের মধ্যে b) দুটি একই মৌলের মধ্যে c) দুটি ভিন্ন অধাতব মৌলের মধ্যে d) একটি ধাতব ও একটি অধাতব মৌলের মধ্যে।
সঠিক উত্তর- d) একটি ধাতব ও একটি অধাতব মৌলের মধ্যে।
1.17 নীচের কোন যৌগটির কঠিন অবস্থায় আয়ন দ্বারা গঠিত? a) সোডিয়াম ক্লোরাইড b) হাইড্রোজেন ক্লোরাইড c) ন্যাপথালিন d) গ্লুকোজ
সঠিক উত্তর- a) সোডিয়াম ক্লোরাইড
2. আয়নীয় ও সমযোজী বন্ধন-অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
2.1 H2O অণুতে কয়টি নিঃসঙ্গ ইলেকট্রন জোড় থাকে?
=>2 জোড়া
2.2 একটি সমযোজী যৌগের উদাহরণ দাও, যার জলীয় দ্রবণ তড়িৎ পরিবহন করে?
=> হাইড্রোজেন ক্লোরাইড (HCl)
2.3 NH3 তে উপস্থিত বন্ধনের প্র্রকৃতি কী?
=> সমযোজী
2.4 সমযোজী ত্রিবন্ধনযুক্ত একটি যৌগিক অণুর উদাহরণ দাও।
=> নাইট্রোজেন।
2.5 CCl4 -এ কী ধরনের বন্ধন বর্তমান।
=> সমযোজী
2.6 সত্য/ মিথ্যা বলো: আয়নীয় যৌগের স্বতন্ত্র অণুর অস্তিত্ব নেই।
=> সত্য
2.7 Mg-এর যোজ্যতা কক্ষে কয়টি ইলেকট্রন আছে?
=> 2 টি
2.8 নিম্নলিখিত যৌগগুলির কোনটিতে তড়িৎযোজ্যতা ও কোনটিতে সমযোজ্যতা আছে বলো।
(i) KCl, HCl, CH4, Mg(NO3)2, C2H6, NaCl, K2S, H2O, MgO, C₂H₄, CaCl₂, NaF, CCl4, C2H2, MgCl2
=> (i) তড়িৎযোজী- KCl, Mg(NO3)2, NaCl, K2S, MgO, CaCl2, NaF, MgCl2
(ii) সমযোজী- HCl, CH4, C2H6, H2O,C2H4, CCl4, C2H2,
2.9 দ্বি-বন্ধন আছে এমন একটি যৌগের নাম ও সংকেত লেখ।
=> ইথিলিন (C2H4), কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2)
2.10 C₂H₂ এবং NaH যৌগগুলিতে কী ধরনের যোজ্যতা আছে তা নির্দেশ করো।
=> C2H2 হল ত্রিবন্ধনযুক্ত সমযোজী ও NaH হল একবন্ধনযুক্ত তড়িৎযোজী যৌগ
2.11 দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হয় এমন দুটি পদার্থের নাম ও সংকেত দাও-যার একটি সমযোজী এবং অপরটি তড়িৎযোজী যৌগ।
=> সমযোজী যৌগ- কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2)
তড়িৎযোজী যৌগ- সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)
2.12 একটি সমযোজী গ্যাসের নাম করো যার জলীয় দ্রবণ তড়িৎ পরিবহন করে।
=> হাইড্রোজেন ক্লোরাইড (HCl)
2.13 সমযোজী ও তড়িৎযোজী উভয় বন্ধনই বর্তমান আছে এমন একটি যৌগের নাম লেখ।
=> অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (NH4Cl)
2.14 Na ও Cl পরমাণু পরস্পরের সঙ্গে কী যোজ্যতায় যুক্ত হবে?
=> তড়িৎযোজ্যতা
2.15 জল ও ক্যালসিয়াম অক্সাইড এর মধ্যে কোনটি তড়িৎযোজী ও কোনটি সমযোজী?
=> জল সমযোজী ও ক্যালসিয়াম অক্সাইড তড়িৎযোজী।
2.16 N2 এর লুইস ডট চিত্র অঙ্কন কর। (N এর পারমাণবিক সংখ্যা 7)
=>
2.17 Ne পরমাণুর যোজন কক্ষে ইলেকট্রন সংখ্যা কত?
=> শূন্য
2.18 হিলিয়াম পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষে কতগুলি ইলেকট্রন থাকে?
=> দুটি
2.19 সমযোজী যৌগ কোন দ্রাবকে দ্রবীভূত হয়?
=> ধ্রুবীয় দ্রাবকে
2.20 F2 অণুর লুইস ডট চিত্র অঙ্কন কর। (F=9)
=>
2.21 ক্লোরোফর্ম ও সোডিয়াম ক্লোরাইড এর মধ্যে কোনটি জলে দ্রবীভূত হয় না?
=> ক্লোরোফর্ম জলে দ্রবীভূত হয় না। (দ্রাব্যতা খুবই কম)
3. আয়নীয় ও সমযোজী বন্ধন-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
3.1 রাসায়নিক বন্ধন কাকে বলে?
=> দুটি পরমাণু যখন একে অপরের মধ্যে ইলেকট্রন আদান প্রদান করে কিংবা একে অপরের ইলেকট্রন সমানভাবে ব্যবহার করে তাদের নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় মৌলের মত ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে তাকে রাসায়নিক বন্ধন বলে।
3.2 যোজক ইলেকট্রন কাকে বলে?
=> পরমাণুর সর্ব বহিঃস্থ কক্ষে অবস্থিত ইলেকট্রন রাসায়নিক বিক্রিয়া অংশগ্রহণ করে বলে এদের যোজক ইলেকট্রন বলে।
3.3 সুস্থিত পরমাণু হওয়ার শর্ত কী?
=> যখন কোনো পরমাণুর কক্ষের ইলেকট্রন বিন্যাস তাদের নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় মৌলের মত হয় তখন পরমাণুটি সুস্থিত হয়।
3.4 তড়িৎ যোজ্যতা কাকে বলে?
=> দুটি পরমাণু যখন একে অপরের মধ্যে ইলেকট্রন আদান প্রদান করে তাদের নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় মৌলের মত ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে তাকে তড়িৎ যোজ্যতা বলে।
3.5 তড়িৎযোজ্যতার পরিমাপ কী?
=> তড়িৎযোজী যৌগে পরমাণগুলি যত সংখ্যক ইলেকট্রন গ্রহণ বা বর্জন করে তাই হলো তড়িৎ যোজ্যতার পরিমাপ।
3.6 সমযোজ্যতার পরিমাপ কী?
=> সমযোজী যৌগের কোনো মৌল যতগুলি ইলেকট্রন জোড় গঠন করে সেই সংখ্যা হল মৌলটির সমযোজ্যতা পরিমাপ।
3.7 অ্যামোনিয়া তড়িৎযোজী না সমযোজী যৌগ চিত্র সহ ব্যাখ্যা কর।
অথবা NH3-এরগঠনচিত্র দেখাও।
=> N- এর ইলেকট্রন বিন্যাস- 2, 5
H -এর ইলেকট্রন বিন্যাস- 1
N পরমাণু; 3টি H পরমাণুর থেকে 1টি করে ইলেকট্রন ব্যবহার করে নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় মৌল নিয়নের (Ne) মতো ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে। প্রত্যেকটি হাইড্রোজেন পরমাণু আবার নাইট্রোজেনের থেকে 1টি করে ইলেকট্রন গ্রহণ করে হিলিয়ামের (He) মতো ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে।
3.8 কোশেল আয়নীয় বন্ধন কিভাবে ব্যাখ্যা করেন?
=> কোশেলের মতবাদ অনুযায়ী একটি তড়িৎ ধনাত্মক মৌল ইলেকট্রন ত্যাগ করে নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় মৌলের মত ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করবে। অন্য কোনো তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল সেই ইলেকট্রন গ্রহণ করে নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় মৌলের মত ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে।
3.9 “তড়িৎযোজী বন্ধনকে প্রকৃত বন্ধন বলা যায় না”- ব্যাখ্যা কর।
=> তড়িৎযোজী মৌল গুলি ইলেকট্রন বর্জন ও গ্রহণের মাধ্যমে যথাক্রমে ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন তৈরি করে। এই আয়ন গুলি কুলম্বীয় তড়িৎ আকর্ষণ বলের জন্য পরস্পরের কাছাকাছি আসে। সেজন্য এক্ষেত্রে কক্ষপথের কোন সমাপতন ঘটে না। তাই এটি প্রকৃত বন্ধন নয়।
3.10 আয়নীয় যৌগের ধর্মগুলি লেখ।
=> ভৌত অবস্থা- সাধারণত আয়নীয় যৌগগুলি কঠিন, শক্ত ও কেলাসাকার পদার্থ।
গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক- আয়নগুলি দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ থাকায় এদের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক বেশি হয়।
দ্রাব্যতা- বেশিরভাগ আয়নীয় যৌগ ধ্রুবীয় দ্রাবকে দ্রাব্য কিন্তু অধ্রুবীয় দ্রাবকে অদ্রাব্য।
তড়িৎ পরিবাহীতা- কঠিন অবস্থায় এরা তড়িৎ পরিবহন করে না তবে গলিত বা জলে দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহনে সক্ষম। অবশ্য তড়িৎ পরিবহনকালে এরা রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষিত হয়।
সমাবয়বতা- আয়নীয় যৌগ সমাবয়বতা ধর্ম প্রদর্শন করে না।
3.11 আয়নীয় যৌগ গুলির গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক বেশি হয় কেন?
=> আয়নীয় যৌগ ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন দিয়ে তৈরি। এই অ্যানায়ন ও ক্যাটায়ন তীব্র তড়িৎ আকর্ষণ বলের জন্য পরস্পরের কাছাকাছি এসে কেলাস তৈরি করে। এই জোটবদ্ধ কেলাসকে ভাঙতে বেশি শক্তির প্রয়োজন। সেজন্য এদের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক বেশি হয়।
3.12 সংকেত ভর কাকে বলে?
=> আয়নীয় যৌগকে যে সংকেতের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় সেই সংকেতে উপস্থিত আয়নগুলির মোট ভরকে সংকেত ভর বলে।
3.13 অষ্টক সূত্রের সীমাবদ্ধতাগুলি লেখ।
=> (i) BeCl2,BH3 অণুগুলির গঠনে বহিঃস্থ কক্ষে 8টির কম ইলেকট্রন থাকে যা অষ্টক সূত্র দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায় না।
(ii) জেনন একটি নিষ্ক্রিয় মৌল হলেও XeF4 কিভাবে তৈরি হল তার ব্যাখ্যা অষ্টক সূত্র দ্বারা সম্ভব নয়।
3.14 MgCl2 যৌগে কিরূপ বন্ধন আছে ব্যাখ্যা কর।
=> Mg- এর ইলেকট্রন বিন্যাস 2, 8, 2
Cl- এর ইলেকট্রন বিন্যাস 2, 8, 7
একটি ম্যাগনেসিয়াম পরমাণু তার বহিঃস্থ কক্ষের 2টি ইলেকট্রন ত্যাগ করে অষ্টক পূর্তির মাধ্যমে নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় মৌলের মতো ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে এবং Mg2+ আয়ন তৈরি করে।
2টি ক্লোরিন পরমাণু 1টি করে ইলেকট্রন গ্রহণ করে তারাও তাদের নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় মৌলের মত ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে ও Cl- আয়ন তৈরি করে।
আয়নগুলি তীব্র তড়িৎ আকর্ষণ বলের প্রভাবে পরস্পরের কাছে আসে ও MgCl2 অণু তৈরি করে।
3.15 ক্যালসিয়াম অক্সাইড তড়িৎযোজী না সমযোজী যৌগ তা চিত্রসহ বর্ণনা কর।
=> Ca পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস- 2, 8, 8, 2
O পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস- 2, 6
ক্যালসিয়াম পরমাণু তার বহিঃস্থ কক্ষের দুটি ইলেকট্রন ত্যাগ করলে আর গণের মত ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে। সেই দুটি ইলেকট্রন অক্সিজেন পরমাণু দ্বারা গৃহীত হয়। এর ফলে Ca2+ ও O2- আয়ন তৈরি হয়। যা কুলম্বীয় বলের প্রভাবে কাছাকাছি এসে CaO তৈরি করে
3.16 আয়ন কাকে বলে? কীভাবে গঠিত হয়? আয়নের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।
=> পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটন সংখ্যা ও কক্ষপথে যদি ইলেকট্রন সংখ্যার তারতম্য থাকে তাহলে সেটি আয়ন ।
ইলেকট্রন গ্রহণ ও বর্জনের মাধ্যমে আয়ন তৈরি হয় ।
আয়নের বৈশিষ্ট্য- (i) মৌলের তুলনায় আয়ন গুলি অধিক সুস্থিত । (ii) আয়নের মধ্যে ইলেকট্রন বিন্যাস নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় মৌলের মত হয় । (iii) তড়িৎক্ষেত্র ও চুম্বকক্ষেত্র দ্বারা আয়নের গতি প্রভাবিত হয় । (iv) আয়ন প্রবাহিত হলে তাকে তড়িৎ প্রবাহ হিসেবে গণ্য করা যায় ।
3.17 পরমাণু ও আয়নের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করো।
=>
পরমাণু | আয়ন |
(i) পরমাণু তুলনামূলক সক্রিয় প্রকৃতির। | (i) আয়ন সুস্থিত হয়। |
(ii) পরমাণুর কেন্দ্রে ও কক্ষে ইলেকট্রন সংখ্যা সমান হয়। | (ii) আয়নের কক্ষপথে ইলেকট্রন সংখ্যা নিষ্ক্রিয় মৌলগুলির মত দেখতে হয় । |
3.18 মিথেন সমযোজী যৌগ কেন দেখাও।
=> C-এর ইলেকট্রন বিন্যাস 2, 4। H- এর ইলেকট্রন বিন্যাস 1
কার্বন পরমাণু তার নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় মৌল (Ne)-এর মত ইলেকট্রন বিন্যাস পেতে গেলে আরো 4টি ইলেকট্রনের দরকার। অন্যদিকে, হাইড্রোজেন পরমাণু তার নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় মৌল (He)-এর মতো ইলেকট্রন বিন্যাস পেতে গেলে 1টি ইলেকট্রন প্রয়োজন। সেজন্য একটি কার্বন পরমাণু; চারটি হাইড্রোজেন পরমাণুর থেকে একটি করে ইলেকট্রন ব্যবহার করে। আবার, হাইড্রোজেন পরমাণু কার্বন থেকে একটি ইলেকট্রন গ্রহন করে। ফলে কার্বন ও হাইড্রোজেন এর মধ্যে সমযোজী বন্ধন তৈরি হয় ।
3.19 NaCl এর জলীয় দ্রবণ বা গলিত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে কিন্তু কঠিন অবস্থায় করেন—ব্যাখ্যা করো।
=> কঠিন অবস্থায় সোডিয়াম ক্লোরাইড এর গঠন কেলাসাকার । অর্থাৎ সোডিয়াম ও ক্লোরিনের আয়নগুলি নির্দিষ্ট অবস্থানে থেকে একটি জ্যামিতিক গঠন তৈরি করে। কঠিন অবস্থায় তড়িৎক্ষেত্রের প্রভাবে এই সোডিয়াম ও ক্লোরিন আয়নগুলি স্থান পরিবর্তন করতে পারে না। তবে গলিত বা জলে দ্রবীভূত হলে সোডিয়াম ক্লোরাইড এর ক্লাসটি ভেঙ্গে যায় এবংNa+ও Cl- আয়ন তৈরি হয়। যা তড়িৎ পরিবহন করতে পারে।
3.20 তড়িৎযোজী যৌগ ও সমযোজী যৌগগুলির পার্থক্যগুলি দেখাও।
=>
তড়িৎযোজী | সমযোজী |
(i) এই যৌগগুলি সাধারণত কঠিন প্রকৃতির হয়। | (i) বেশিরভাগ সমযোজী যৌগ গ্যাসে অথবা তরল প্রকৃতির। |
(ii) বেশিরভাগ তড়িৎযোজী যৌগ গলিত বা জলে দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করতে পারে। | (ii)সমযোজী যৌগগুলি কোনোভাবে তড়িৎ পরিবহন করে না। |
(iii) বেশিরভাগ তড়িৎযোজী যৌগগুলি কঠিন অবস্থায় কেলাস গঠন করে। | (iii) বেশিরভাগ সমযোজী যৌগ অনিয়তকার প্রকৃতির হয়। |
(iv) এরা তড়িৎ বিশ্লেষ্য। | (iv)এরা তড়িৎ অবিশ্লেষ্য। |
(v) এদের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক সাধারণত বেশি হয়। | (v) এদের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক তুলনামূলক কম হয়। |
(vi) এরা সাধারণত ধ্রুবীয় দ্রাবকে (যেমন জল) দ্রবীভূত হয়। | (vi) এরা সাধারণত অধ্রুবীয় দ্রবীভূত হয় । |
3.21 একটি উদাহরণ দিয়ে দেখাও যে আয়নীয় যৌগের আয়ন গুলি অষ্ট-পূর্তি ছাড়াও আয়নীয় যৌগ গঠিত হতে পারে।
=> LiH। এটি একটি আয়নীয় যৌগ। যেখানে লিথিয়াম ও হাইড্রোজেন উভয়েরই সর্ববৃহস্থ পক্ষে দুটি করে ইলেকট্রন বর্তমান।
3.22 সমযোজী এক বন্ধন, দ্বি-বন্ধন, ত্রি-বন্ধন কাকে বলে? প্রতি ক্ষেত্রে একটি করে উদাহরণ দাও।
=> সমযোজী এক বন্ধন- যে সমযোজী বন্ধনে দুটি পরমাণু একটি করে ইলেকট্রন একে অপরকে ব্যবহার করার মাধ্যমে অষ্টকপূর্তি করে তাকে সমযোজী এক বন্ধন বলে। যেমন- মিথেন।
সমযোজী দ্বি- বন্ধন- যে সমযোজী বন্ধনে দুটি পরমাণুর প্রত্যেকে দুটি করে ইলেকট্রন একে অপরকে ব্যবহার করার মাধ্যমে অষ্টক্পূর্তি করে তাকে সমযোজী দ্বিবন্ধন বলে । যেমন- কার্বন ডাই অক্সাইড।
সমযোজী ত্রি-বন্ধন- যে সমযোজী বন্ধনে দুটি পরমাণুর প্রত্যেকে তিনটি করে ইলেকট্রন একে অপরকে ব্যবহার করার মাধ্যমে অষ্টকপূর্তি করে তাকে সমযোজী ত্রি-বন্ধন বলে যেমন- নাইট্রোজেন
3.23 ন্যাপথালিন ও সোডিয়াম ক্লোরাইড এর দুটি ধর্মের তুলনা কর: গলনাঙ্ক ও জলে দ্রাব্যতা
=>
ন্যাপথালিন | সোডিয়াম ক্লোরাইড | |
গলনাঙ্ক | গলনাঙ্ক নিম্ন। সাধারন অবস্থায় উদ্বায়ী প্রকৃতির | এর গলনাঙ্ক অনেক বেশি হয়। |
জলে দ্রাব্যতা | এটি জলে দ্রবীভূত হয় না। | এটি জলে সহজেই দ্রবীভূত হয়। |
3.24 তরল হাইড্রোজেন ক্লোরাইড তড়িৎ পরিবহনে সক্ষম নয় কিন্তু গোলীয় সোডিয়াম ক্লোরাইড তড়িৎ পরিবহনের- সক্ষম ব্যাখ্যা কর।
=> আসলে হাইড্রোজেন ক্লোরাইডে সমযোজী বন্ধন থাকে। সেজন্য এটি গলিত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে না। অন্যদিকে সোডিয়াম ক্লোরাইড এ আয়নীয় বন্ধন থাকে। যার জন্য গলিত সোডিয়াম ক্লোরাইডে আয়ন পাওয়া যায় যা তড়িৎ পরিবহনে সক্ষম।
3.25 সোডিয়াম ক্লোরাইড এর গলনাঙ্ক গ্লুকোজের গলনাঙ্ক থেকে অনেকটা বেশি কেন? ব্যাখ্যা কর।
=> সোডিয়াম ক্লোরাইড আয়নীয় প্রকৃতির যৌগ। তাই এর ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়ন গুলি তীব্র তড়িৎ কুলম্বীয় বলের প্রভাবে একে অপরের কাছাকাছি অবস্থান করে। এর জন্য সোডিয়াম ক্লোরাইড সাধারণ উষ্ণতায় কঠিন প্রকৃতির হয়। অর্থাৎ গলনাঙ্ক বেশি। কিন্তু গ্লুকোজের ক্ষেত্রে আয়নীয় বন্ধন থাকেনা। গ্লুকোজ অণুদের মধ্যে দুর্বল ভ্যানডার ওয়ালস বল ক্রিয়া করে। এর জন্য গ্লুকোজের গলনাঙ্ক কম।
3.26 সমযোজী যৌগের ক্ষেত্রে “আণবিক ভর”- কথাটি ব্যবহার করা হয় কেন?
=> সমযোজী যৌগের ক্ষেত্রে অণু গুলি দুর্বল ভ্যান-ডার-ওয়ালস্ আকর্ষণ বল দ্বারা যুক্ত থাকে। অণুগুলি কোনোরূপ কেলাস আকার গঠন করে না। অর্থাৎ অণুগুলি পৃথকভাবে অবস্থান করতে পারে। সমযোজী অণুর সংকেত ও আণবিক ভর সমান হয়। তাই সমযোজী যৌগের ক্ষেত্রে আণবিক ভর কথাটি ব্যবহার করা হয়।
3.27 দুটি মৌল A ও B এর পারমাণবিক ক্রমাঙ্ক যথাক্রমে 19 এবং 17। A ও B রাসায়নিকভাবে যুক্ত হলে কি ধরনের যৌগ গঠন করবে এবং যৌগটির সংকেত লেখো।
=> A- এর ইলেকট্রন বিন্যাস 2, 8, 8, 1
B- এর ইলেকট্রন বিন্যাস 2, 8, 7
দেখা যাচ্ছে, A মৌলটি একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করলে এবং B মৌলটি একটি ইলেকট্রন গ্রহণ করলে অষ্টকপূর্তি হয়। যেহেতু ইলেকট্রন গ্রহণ বর্জনের ব্যাপার চলে আসছে তাই এক্ষেত্রে উৎপন্ন যৌগটি আয়নীয় অর্থাৎ তড়িৎযোজী হবে ।
\begin{array}{cc} A\rightarrow A^ + + e \\ B + e\rightarrow B^ - \\ A + B\rightarrow A^ + B^ - \rightarrow AB \\ \end{array}