Table of Contents
Toggle1. ধাতুবিদ্যা Class 10-সঠিক উত্তরটি বেছে নাও।
ধাতুবিদ্যা-সঠিক উত্তরটি বেছে নাও
1.1 কোন লোহায় কার্বনের পরিমাণ সর্বাধিক? a) কাস্ট আয়রন b) রট আয়রন c) স্টিল d) কাঁচা লোহা
সঠিক উত্তর- a) কাস্ট আয়রন।
1.2 স্টেইনলেস স্টিলে লোহার সঙ্গে আর কোন ধাতুটি মেশানো হয়? a) অ্যালুমিনিয়াম b) তামা c) ক্রোমিয়াম d) নিকেল
সঠিক উত্তর- ক্রোমিয়াম।
1.3 ব্রোঞ্জে থাকে- a) Cu, Zn, Fe b) Cu, Sn, Zn c) Cu, Sn, Mn d) Fe, Sn, Ni
সঠিক উত্তর- b) Cu, Sn, Zn
1.4 জার্মান সিলভারে থাকে না- a) তামা b) দস্তা c) নিকেল d) রূপা
সঠিক উত্তর- d) রূপা
1.5 মরচে পড়ার জন্য আবশ্যিক শর্ত নয় কোনটি? a) জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি b) অক্সিজেনের উপস্থিতি c) আস্তরণহীন লোহা d) ক্লোরাইড আয়নের উপস্থিতি
সঠিক উত্তর- d) ক্লোরাইড আয়নের উপস্থিতি
1.6 অ্যালুমিনার তড়িৎ বিশ্লেষণে অ্যানোড হিসেবে ব্যবহৃত হয়- (a) প্লাটিনাম (b) গ্রাফাইট (c) কপার (d) স্টিল
সঠিক উত্তর- (b) গ্রাফাইট
1.7 থার্মিট মিশ্রণটি হল- (a) Fe2O3 + Al (b) Fe2O3 + Cu (c) FeO + Al (d) FeO + Cu
সঠিক উত্তর-a) (a) Fe2O3 + Al
1.8 লোহার দ্রব্যে গলিত দস্তার প্রলেপ দেওয়াকে বলে- a) গ্যালভানাইজেশন b) টিন কোটিং c) তড়িৎলেপন d) সংকরায়ণ
সঠিক উত্তর- a) গ্যালভানাইজেশন
1.9 অ্যামালগাম কোন ধাতুর সংকর? (a) Hg (b) Cu (c) Fe (d) Zn
সঠিক উত্তর- (a) Hg
1.10 ইনভারে থাকে a) Fe-Ni b) Cu-Sn c) Fe-Mn d) Al-Mg
সঠিক উত্তর-a) Fe-Ni
1.11 থার্মিট পদ্ধতিতে বিজারক রূপে ব্যবহৃত হয়— (a) Al (b) Zn (c) Fe (d) Cu
সঠিক উত্তর-(a) Al
1.12 কোন ধাতু সংকরে জিংক বর্তমান? a) কাঁসা b) পিতল c) ব্রোঞ্জ d) ডুরালুমিন
সঠিক উত্তর- পিতল
1.13 ‘ম্যালাকাইট’ কোন ধাতুর আকরিক? a) লোহা b) দস্তা c) অ্যালুমিনিয়াম d) তামা
সঠিক উত্তর- d) তামা
2. ধাতুবিদ্যা Class 10-অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
ধাতুবিদ্যা-অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
2.1 ম্যাগনেটাইট আকরিক থেকে কোন ধাতু পাওয়া যায়?
=> লোহা (Fe)
2.2 কাস্ট আয়রনের একটি ব্যবহার লেখো
=> জলের পাইপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
2.3 অস্ত্রোপচারের যন্ত্রপাতি কোন ধরনের লোহা দিয়ে তৈরি?
=> স্টিল বা ইস্পাত দিয়ে।
2.4 একটি মুদ্রা ধাতুর নাম লেখ।
=> তামা (Cu)
2.5 তামার দুটি ব্যবহার লেখো।
=> (i) বিদ্যুতের পরিবাহী হিসেবে ব্যবহার করা হয়।, (ii) তামার সঙ্গে অন্যান্য ধাতু মিশিয়ে সংকর ধাতু তৈরি করা হয় যা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
2.6 জিংকের দুটি ব্যবহার লেখ।
=> (i) বৈদ্যুতিক সেল তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।, (ii) লোহার ওপর জিংকের প্রলেপ দিয়ে লোহাকে মরিচার হাত থেকে রক্ষা করা হয়।
2.7 গ্যালভানাইজেশন কাকে বলে?
=> লোহার ওপর দস্তার প্রলেপ দেওয়াকে গ্যালভানাইজেশন বলে।
2.8 জিংক হোয়াইট কী?
=> জিংক সালফাইড (ZnS) ও বেরিয়াম সালফেট (BaSO4)এর মিশ্রণকে হোয়াইট বলে। এটি সাদা রং হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
2.9 ডুরালুমিনের প্রধান উপাদান কী?
=> অ্যালুমিনিয়াম (Al)
2.10 অ্যালুমিনিয়ামের দুটি ব্যবহার লেখো।
=> (i) বিদ্যুতের সুপরিবাহী হওয়ার জন্য তামার পরিবর্তে অ্যালুমিনিয়ামকে ব্যবহার করা যায়।, (ii) বিমান ও মোটর গাড়ির কাঠামো তৈরিতে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা হয়।
2.11 কপার ও অ্যালুমিনিয়ামের একটি করে ব্যবহার উল্লেখ কর।
=> কপারের সাহায্য তার তৈরি করা হয় যা বিদ্যুৎ পরিবহনে কাজে লাগে। অ্যালুমিনিয়াম হালকা হওয়ায় প্লেনের কাঠামো তৈরি করা হয়।
2.12 সংকর ধাতু কাকে বলে?
=> একাধিক ধাতু পরস্পর মিশে যে সমসত্ব কঠিন পদার্থ উৎপন্ন করে তাকে সংকর ধাতু বলে।
2.13 অ্যামালগাম কাকে বলে?
=> ধাতু সংকরের একটি উপাদান যদি পারদ হয় তাহলে তাকে অ্যামালগাম বলে।
2.14 অ্যামালগাম এর দুটি ব্যবহার লেখো।
=> তড়িৎদ্বার হিসেবে (Zn/Hg), দাঁতের চিকিৎসায় (Ag/Hg) ব্যবহার করা হয়।
2.15 স্টেইনলেস স্টিলে কী কী ধাতু থাকে?
=> লোহা এবং ক্রোমিয়াম।
2.16 ইনভারে কী কী ধাতু থাকে?
=> লোহা ও নিকেল।
2.17 কাঁসা কী দিয়ে তৈরি?
=> তামার সঙ্গে তিন মিশিয়ে কাঁসা তৈরি করা হয়।
2.18 পিতল কী দিয়ে তৈরি?
=> তামা এর সঙ্গে দস্ত মিশিয়ে পিতল তৈরি করা হয়।
2.19 জার্মান সিলভারে কোন কোন ধাতু থাকে ?
=> তামা(Cu), দস্তা(Zn), নিকেল (Ni)
2.20 ডুরালুমিনে কোন ধাতুটি পরিমাণ বেশি?
=> অ্যালুমিনিয়াম।
2.21 খনিজ কাকে বলে?
=> প্রকৃতিতে কোন ধাতু যৌগ আকারে থাকলে ওই যৌগটিকে মৌলটির খনিজ বলা হয়।।
2.22 আকরিক কাকে বলে?
=> যেসব খনিজ পদার্থ থেকে প্রয়োজনীয় ধাতুকে অল্প খরচে ও সহজে নিষ্কাশন করা যায় তাকে ওই ধাতুর আকরিক বলে।
2.23 লোহার দুটি আকরিকের নাম লেখো।
=> রেড হেমাটাইট (Fe2O3), ম্যাগনেটাইট (Fe3O4)।
2.24 তামার কয়েকটি আকরিকের নাম লেখো।
=> মেলাকইট [CuCO3, Cu(OH)2], কিউপ্রাইট [Cu2O], কপার গ্লান্স বা চ্যালকোসাইট [Cu2S], কপার পাইরাইটস [Cu2S, Fe2S3]।
2.25 জিংক-এর কয়েকটি আকরিকের নাম লেখো।
=> জিংক ব্লেন্ড [ZnS], ক্যালামাইন [ZnCO3], জিংকাইট [ZnO]
2.26 অ্যালুমিনিয়ামের কয়েকটি আকরিকের নাম লেখো।
=> বক্সাইট [Al2O3, 2H2O], গিবসাইট [Al2O3, 3H2O], ক্রায়োলাইট [AlF3, 3NaF]
2.27 জারণ বিজারণের ইলেকট্রনীয় সংজ্ঞা দাও।
=> জারণ- রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু বা আয়ন ইলেকট্রন ত্যাগ করলে তাকে জারণ বলে। যেমন- Na-e→ Na+, Fe2+-e →Fe3+, Cl--e→Cl
বিজারণ- রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু বা আয়ন ইলেকট্রন গ্রহণ করলে তাকে বিজারণ বলে। যেমন- Br+e→Br-, Ca2++2e→Ca
2.28 শূণ্যস্থান পূরণ কর- আকরিক থেকে ধাতু নিষ্কাশন _____ পদ্ধতিতে করা হয়।
=> বিজারণ
2.29 তুঁতের জলীয় দ্রবণে লোহার পেরেক দিলে কী হবে?
=> তুঁত অর্থাৎ CuSO4-এর দ্রবণে লোহা রাখলে ধীরগতির বিক্রিয়ায় ফেরাস সালফেট তৈরি হবে এবং তামা অধঃক্ষিপ্ত হবে।
CuSO4+Fe→FeSO4+Cu
2.30 তড়িৎ রাসায়নিক শ্রেণী অনুযায়ী ধাতুগুলিকে সাজাও।
=> Li > K > Na > Ca > Mg > Al > Zn > Fe > Sn > Pb > H > Cu > Hg > Ag > Au > Pt
2.31 কার্বন বিজারণ পদ্ধতিতে নিষ্কাশন করা হয় এমন একটি পদার্থের নাম লেখ।
=> জিংক বা দস্তা (Zn)
2.32 থার্মিট মিক্সচার কাকে বলে? অনুরূপ প্রশ্ন, থার্মিট মিশ্রণ কী?
=> ফেরিক অক্সাইড (বা ক্রোমিয়াম অক্সাইড বা ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইড) ও অ্যালুমিনিয়াম চূর্ণের 3:1 অনুপাতের মিশ্রণকে থার্মিট মিক্সচার বলে।
2.33 কয়েকটি ধাতুর নাম লেখ যা তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে নিষ্কাশন করা হয়।
=> অ্যালুমিনিয়াম, সোডিয়াম
2.34 মরিচার সংকেত কী?
=> 2Fe2O3, 3H2O
2.35 লোহার মরিচা রোধের উপায়গুলি লেখ।
=> (i) লোহার ওপর তেলের প্রলেপ বা রং করে দিলে।, (ii) লোহার ওপর দস্তার প্রলেপ দিলে মরিচা হয় না।
2.36 সমুদ্রের জাহাজে দ্রুত মরচে পড়ে কেন?
=> সমুদ্রের জলে থাকা Cl- আয়ন মরচে পড়ার বিক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে জন্য সমুদ্রের জাহাজে দ্রুত মরচে পরে
2.37 অনেকদিন তামা পড়ে থাকলে তার ওপর কীসের আস্তরণ তৈরি হয়?
=> বেসিক কপার কার্বনেট (CuCO3, Cu(OH)2)।
3. ধাতুবিদ্যা Class 10-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
ধাতুবিদ্যা-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
3.1 ‘আকরিক মাত্রই খনিজ কিন্তু সব খনিজ আকরিক নয়’- ব্যাখ্যা কর।
=> একটি উদাহরণ দিয়ে বোঝা যাক। লোহার দুটি খনি হলো রেড হেমাটাইট (Fe2O3) ও আয়রন পাইরাইটস (FeS2)। এই দুই যৌগতেই লোহা রয়েছে। তাহলে এরা হল লোহার খনিজ। কিন্তু রেড হেমাটাইট থেকে তুলনামূলক সহজে ও স্বল্প খরচে লোহার নিষ্কাশন করা যায়। তাই রেড হেমাটাইটকে লোহার আকরিক বলা হয়। অন্যদিকে, আয়রন পাইরাইটস থেকে প্রাপ্ত লোহার গুণমান ভালো হয় না এবং উৎপাদন ব্যয় তুলনামূলক বেশি। সেজন্য এটি লোহার আকরিক নয়। অর্থাৎ, সকল আকরিক খনিজ কিন্তু সব খনিজ আকরিক নয়।
3.2 কার্বন-বিজারণ পদ্ধতিটি বর্ণনা কর।
=> কার্বন বিজারণ পদ্ধতিতে ধাতব অক্সাইড নেওয়া হয়। যদি আকরিক অক্সাইড না হয় তাহলে সেটিকে অক্সাইডে পরিণত করা হয়। এরপর উচ্চ তাপমাত্রায় কার্বন দ্বারা ওই অক্সাইডটি বিজারিত করে ধাতু সংগ্রহ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ- জিংক অক্সাইড এর সঙ্গে কার্বনের বিক্রিয়ায় জিংক ও কার্বন মনোক্সাইড তৈরি হয়।
ZnO+C→ Zn+CO
3.3 থার্মিট পদ্ধতি বর্ণনা কর।
=> একটি তাপসহ মুচির মধ্যে ফেরিক অক্সাইড (বা ক্রোমিয়াম অক্সাইড বা ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইড) ও অ্যালুমিনিয়াম চূর্ণের 3:1 অনুপাতের মিশ্রণ নেওয়া হয়। মিশ্রণের ওপর সামান্য পটাশিয়াম ক্লোরেট (KClO3) ও বেরিয়াম পারক্সাইড (BaO2) ছিটিয়ে ম্যাগনেশিয়াম ফিতা প্রবেশ করানো হয়। মুচির নীচে একটি ছিদ্র থাকে। Mg ফিতাতে আগুন ধরিয়ে দিলে আগুনের শিখা যখন KClO3 স্তরে পৌছাবে তখন প্রচন্ড তাপ (2000℃) উৎপন্ন হবে। এতে Fe2O3 ও Al বিক্রিয়া করে গলিত লোহা ও Al2O3 তৈরি করে। Fe2O3 + Al→Al2O3+Fe↓। মুচির ছিদ্র দিয়ে গলিত লোহা নির্গত হয়ে ফাটল মেরামত বা লোহার টুকরো জোড়া লাগানো হয়।
3.4 লোহার মরিচা ধরার কারণ বর্ণনা কর।
=> লোহার মধ্যে অশুদ্ধি রূপে কোনো জারণকারী পদার্থ (যেমন- কার্বন) উপস্থিত থাকলে সেটি ক্ষুদ্র তড়িৎকোশের মতো আচরণ করে। লোহা হবে অ্যানোড ও ক্যাথোড হবে অশুদ্ধি। CO2 মিশ্রিত জল তড়িৎবিশ্লেষ্য রূপে কাজ করে।
প্রথমে অ্যানোডে লোহার পরমাণু ইলেকট্রন ত্যাগ করে Fe2+ আয়ন তৈরি করে। Fe-2e→Fe2+।
জলে অবস্থিত H+ আয়ন সেই ইলেকট্রন গ্রহণ করে H2 গ্যাস তৈরি করে। H++e→H; 2H→H2।
এই উৎপন্ন H2 গ্যাস বাতাসের O2 বা জলে দ্রবীভূত O2-এর সঙ্গে বিক্রিয়া করে OH- আয়ন তৈরি করে। যা Fe2+-এর সাথে বিক্রিয়া করে Fe(OH)2 তৈরি করে। Fe2++2OH-→Fe(OH)2
এই Fe(OH)2 আবার O2 এর সাথে বিক্রিয়া করে অবশেষে মরিচা তৈরি করে।
4Fe(OH)2+O2→[2Fe2O3, 3H2O] (মরিচা)+ H2O
3.5 গ্যালভানাইজেশন কাকে বলে?
=> লোহার ওপর দস্তার প্রলেপ দেওয়াকে গ্যাল্ভানাইজেশন বলে। সাধারণত গলিত দস্তার মধ্যে লোহার বস্তুকে চুবিয়ে এই প্রক্রিয়া করা হয়।
3.6 খোলা অবস্থায় তামা পড়ে থাকলে তার ওপর সবুজ আস্তরণ তৈরি হয় কেন?
=> কপার বাতাসে অবস্থিত জলীয়বাষ্প কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে বেসিক কপার কার্বনেটের তৈরি করে যা সবুজ বর্ণের।
2Cu+H2O+CO2+O2→CuCO3, Cu(OH)2
3.7 অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে চাটনি রাখা উচিত নয় কেন?
=> চাটনিতে অ্যাসিড থাকে। এই অ্যাসিডের সঙ্গে অ্যালুমিনিয়াম বিক্রিয়া করে ক্ষতিকারক লবণ তৈরি করতে পারে। সেজন্য অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে চারটি রাখা উচিত নয়।