Table of Contents
Toggle1. আলো CLASS 10- সঠিক উত্তরটি বেছে নাও।
1.1 মোটরগাড়ির ভিউ ফাইন্ডার হিসেবে ব্যবহার হয়- a) সমতল দর্পণ b) উত্তল দর্পণ c) অবতল দর্পণ d) লেন্স
সঠিক উত্তর- b) উত্তল দর্পণ
1.2 দাড়ি কামানোর সময় ব্যবহৃত অবতল দর্পণ সাপেক্ষে মুখের অবস্থান হয়- a) ফোকাসে b) ফোকাস ও মেরুর ভিতরে c) মেরুতে d) ফোকাস ও বক্রতা কেন্দ্রের ভিতরে
সঠিক উত্তর- b) ফোকাস ও মেরুর ভিতরে
1.3 মোটরগাড়ির হেডলাইটে ব্যবহৃত হয় - (a) উত্তল দর্পণ (b) অবতল দর্পণ (c) সমতল দর্পণ (d) উত্তল ও সমতল দর্পণ
সঠিক উত্তর- b) অবতল দর্পণ
1.4 সমতল দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ হবে - a) শূন্য, b) ধনাত্মক, c) ঋণাত্মক, d) অসীম ।
সঠিক উত্তর - d) অসীম।
1.5 উত্তল দর্পণে সমান্তরাল আলোকরশ্মি আপতিত হলে, প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ – a) অপসারী, b) অভিসারী, c) সমান্তরাল, d) উপাক্ষীয় হয়।
সঠিক উত্তর- a) অপসারী
1.6 10 cm ফোকাস দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট অবতল দর্পণের সামনে কত দূরে বস্তু রাখলে, প্রতিবিম্বের রৈখিক বিবর্ধন 1 হবে? - a) 10 cm , b) 15 cm, c) 20 cm, d) 5 cm.
সঠিক উত্তর- c) 20 cm
1.7 কোন্ প্রকার দর্পণে বস্তুর প্রতিবিম্ব সর্বদা খর্বাকার ও অসদ্ হয় ? – a) উত্তল দর্পণ, b) অবতল দর্পণ, c) সমতল দর্পণ, d) অধিবৃত্তীয় দর্পণ
সঠিক উত্তর- a) উত্তল দর্পণ
1.8 কোনো অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্রে একটি বস্তু রাখলে, বস্তুর প্রতিবিম্ব সম্পর্কিত নীচের কোন্ তথ্যটি সঠিক? a) প্রতিবিম্বটি অসদ্ হবে, b) সমশীর্ষ হবে, c) বস্তুর চেয়ে আকারে বড়ো হবে, d) প্রতিবিম্বটি বক্রতা কেন্দ্রেই গঠিত হবে
সঠিক উত্তর- d) প্রতিবিম্বটি বক্রতা কেন্দ্রেই গঠিত হবে
1.9 একটি বিন্দু আলোক উৎস একটি অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্রে স্থাপিত হল। এই উৎস থেকে দর্পণে আপতিত ও দর্পণ থেকে প্রতিফলিত রশ্মির মধ্যে চ্যুতিকোণ হল – a) 0°, b) 180⁰, c) 90⁰ , d) 360°
সঠিক উত্তর- b) 180⁰
1.10 প্রিজমে কোন বর্ণের আলোর বিচ্যুতি সর্বাধিক? a) নীল b) কমলা c) হলুদ d) বেগুনী
সঠিক উত্তর- d) বেগুনী
1.11 সাদা আলোর বর্ণ বিশ্লেষণ যে করলে প্রান্তীয় বর্ণ দুটি পাওয়া যায় তা হল। a) লাল- হলুদ b) নীল-সবুজ c)কমলা- আকাশি d)লাল-বেগুনি
সঠিক উত্তর- d)লাল-বেগুন
1.12 উত্তল লেন্সের সামনে বস্তুকে f ও 2f এর মধ্যে রাখলে প্রতিবিম্ব হয়- a) সদ্ বিবর্ধিত b) অবশীর্ষ, ছোটো c) অবশীর্ষ, সমান d) অসদ্, বিবর্ধিত
সঠিক উত্তর- a) সদ্ বিবর্ধিত
1.13 আপতন কোণ ও প্রতিসরণ কোণ যথাক্রমে 30° ও 45⁰ হলে, কৌণিক চ্যুতির মান কত? a) 50° b) 85° c)15° d) 90⁰
সঠিক উত্তর- c)15° ব্যাখ্যা- (450-300)=150
1.14 আলোক কেন্দ্র দিয়ে যাবার সময় আলোকরশ্মির বিচ্যুতি (a) 00 (b) 45° (c) 30° (d) 90°
সঠিক উত্তর- (a) 00
1.15 আলোর প্রতিসরণে অপরিবর্তিত থাকে (a) আলোর গতিবেগ, (b) তরঙ্গদৈর্ঘ্য, (c) কম্পাঙ্ক, (d) বিস্তার।
সঠিক উত্তর- (c) কম্পাঙ্ক
1.16 একটি পাতলা উত্তল লেন্সের আলোককেন্দ্র ও ফোকাসের মধ্যে একটি বস্তু রাখা আছে। বস্তুটির প্রতিবিম্বের প্রকৃতি কোনটি? a) সদ ও অবশীর্ষ b) অসদ ও অবশীর্ষ c) সদ ও সমশীর্ষ d) অসদ ও সমশীর্ষ
সঠিক উত্তর- d) অসদ ও সমশীর্ষ
1.17 রামধনু সৃষ্টির কারণ হল- a) আলোর প্রতিফলন b) আলোর প্রতিসরণ c) আলোর বিচ্ছুরণ d) আলোর বিক্ষেপণ
সঠিক উত্তর-c) আলোর বিচ্ছুরণ
2. আলো CLASS 10 -অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
2.1 দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ (r) ও ফোকাস (f) দৈর্ঘ্যের মধ্যে সম্পর্ক কী?
=> f=r/2
2.2 সমতল দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ কত?
=> অসীম।
2.3 সমতল দর্পণের ফোকাস দৈর্ঘ্য কত?
=> অসীম
2.4 গোলীয় দর্পণের মুখ্য ফোকাসের সংখ্যা কত?
=> একটি
2.5 গোলীয় দর্পণকে জলে ডোবালে ফোকাস দৈর্ঘ্যের কী পরিবর্তন হবে?
=> অপরিবর্তিত থাকবে।
2.6 উত্তল দর্পণের ব্যবহারের উদাহরণ দাও।
=> গাড়ির ভিউ ভাইন্ডার, স্ট্রিট ল্যাম্পে আলোর প্রতিফলক হিসেবে ব্যবহার হয়।
2.7 অবতল দর্পণের ব্যবহারের উদাহরণ দাও?
=> টেলিস্কোপ, মোটর গাড়ির হেডলাইট, দন্ত চিকিৎসা ইত্যাদি ।
2.8 স্ট্রিট ল্যাম্পে প্রতিফলক হিসাবে কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহৃত হয়?
=> উত্তল ।
2.9 প্রিজমের কয়টি তল?
=> প্রিজমের পাঁচটি তল।
2.10 অবতল দর্পণ কখন সমশীর্ষ প্রতিবিম্ব গঠন করে?
=> বস্তু যখন অবতল দর্পণের মেরু ও ফোকাসের মাঝামাঝি অবস্থান করে তখন সমশীর্ষ প্রতিবিম্ব তৈরি হয়।
2.11 উত্তল দর্পণের সামনে বস্তু রাখলে বস্তুর প্রতিবিম্ব কেমন হবে?
=> প্রতিবিম্বটি আকারে ছোটো, সমশীর্ষ ও অসদ হবে।
2.12 উত্তল দর্পণের রৈখিক বিবির্ধন কত হয়?
=> 1 এর চেয়ে কম হয়।
2.13 একটি আলোকরশ্মি অবতল বা উত্তল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র দিয়ে গেলে আপতন কোণ কত হবে?
=> ০০
2.14 সত্য না মিথ্যা লেখঃ- স্নেলের সূত্রানুযায়ী sini ∝ sinr।
=> সত্য
2.15 জলের মধ্যে থাকা বায়ুর বুদবুদ কোন ধরনের লেন্সের মতো আচরণ করে?
=> অবতল লেন্স ।
2.16 উত্তল লেন্সে ফোকাসে থাকা বস্তুর প্রতিবিম্ব কোথায় গঠিত হয়?
=> অসীমে।
2.17 উত্তল লেন্স দ্বারা কোন ধরনের দৃষ্টি ত্রুটি প্রতিকার করা হয়?
=> দীর্ঘ্যদৃষ্টি বা hypermetropia
2.18 অবতল লেন্সের চশমা ব্যবহার করে দ্বারা কোন ধরনের ত্রুটি দূর করা যায়?
=> হ্রস্বদৃষ্টি বা myopia
2.19 সরল ক্যামেরায় কোন লেন্স ব্যবহার করা হয়?
=> উত্তল লেন্স
2.20 সরল ক্যামেরা দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্বের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?
=> প্রতিবম্বটি সদ্ ও অবশীর্ষ হয়
2.21 ক্যামেরার কোন অংশ আলোর সম্পাতকাল নিয়ন্ত্রণ করে?
=> শাটার।
2.22 কোন বর্ণের আলোর জন্য উত্তল লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য সর্বাধিক?
=> লাল বর্ণ
2.23 সাদা আলোর কোন বর্ণের প্রতিসরাঙ্ক সর্বনিম্ন?
=> লাল।
2.24 একটি লাল গোলাপকে নীল আলোয় দেখলে কেমন দেখাবে?
=> কালো ।
2.25 শূন্যস্থান পূরণ কর-প্রিজমের মধ্য দিয়ে সাদা আলোর প্রতিসরণের ক্ষেত্রে যে বর্ণের বিচ্যুতি সর্বনিম্ন সেটি হল _____
=> লাল ।
2.26 প্রিজমের মধ্য দিয়ে সাদা আলোর প্রতিসরণের ক্ষেত্রে যে বর্ণের বিচ্যুতি সর্বাধিক সেটি কোনটি?
=> নীল বর্ণ
2.27 A, B, C, D চারটি মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্কের মান যথাক্রমে 1.5, 1.4, 2.5, 1.3। এদের মধ্যে কোন মাধ্যমে আলোর বেগ সর্বাধিক?
=>D ।
2.28 আলোর বিচ্ছুরণ কে আবিষ্কার করেন?
=> 1966 সালে স্যার আইজ্যাক নিউটন
2.29 আলোর বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক ঘটনার উদাহরণ দাও।
=> রামধনু ।
2.30 আলোক রশ্মি লঘু মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে গেলে আপতন কোণ ও প্রতিসরণ কোণের মধ্যে কোনটি বড় হয়?
=> লঘু মাধ্যমে আপতন কোণ বড় হবে।
2.31 আলোর বিক্ষেপণের উদাহরণ দাও।
=> লাল আলোকে অনেক দূর থেকে বোঝা যায়। কিন্তু সেই তুলনায় নীল বা বেগুনিকে বোঝা যায় না।
2.32 কোন বর্ণের আলোর বিক্ষেপণ সবচেয়ে বেশি হয়?
=> দৃশ্যমান আলোর ক্ষেত্রে বেগুনি
2.33 কোন বর্ণের আলোর বিক্ষেপণ সবচেয়ে কম হয়?
=> দৃশ্যমান আলোর ক্ষেত্রে লাল
3. আলো CLASS 10- সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
3.1 গোলীয় দর্পণের মেরু কাকে বলে?
=> গোলীয় দর্পণের মাঝামাঝি অবস্থিত বিন্দুকে মেরু বলে।
3.2 গোলীয় দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র কাকে বলে?
=> গোলীয় দর্পণের বক্র তলটির যে কেন্দ্র থাকে বক্রতা কেন্দ্র বলে।
3.3 গোলীয় দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ কাকে বলে?
=> গোলীয় দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র থেকে মেরুর দূরত্বকে বক্রতা ব্যাসার্ধ বলে।
3.4 গোলীয় দর্পণের ফোকাস কাকে বলে?
=> প্রধান অক্ষের সমান্তরাল রশ্মি গোলীয় দর্পণ দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে প্রধান যে বিন্দুতে মিলিত হয় (অবতল দর্পণ) বা যে বিন্দু থেকে আসছে বলে মনে হয় (উত্তল দর্পণ) তাকে ফোকাস বলে।
3.5 উপাক্ষীয় ও পরাক্ষীয় রশ্মি কাকে বলে?
=>
যে রশ্মি প্রধান অক্ষের খুব কাছে অবস্থান করে তাকে উপাক্ষীয় রশ্মি বলে। অন্যদিকে যে রশ্মি প্রধান অক্ষ থেকে দূরে অবস্থান করা তারা হল পরাক্ষীয় রশ্মি।
3.6 সমতল ও গোলীয় দর্পণের মধ্যে পার্থক্য কী?
=> সমতল দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধের দৈর্ঘ্য অসীম এবং গোলীয় দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধের নির্দিষ্ট মান আছে।
3.7 গোলীয় দর্পণের প্রধান অক্ষ কাকে বলে?
=> দর্পণের মেরু ও বক্রতা ব্যাসার্ধ যুক্তকারী রেখাকে প্রধান অক্ষ বলে।
3.8 অবতল দর্পণের ক্ষেত্রে ফোকাস দূরত্ব ও বক্রতা ব্যাসার্ধের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় কর।
=> উত্তরটি জানতে এখানে ক্লিক করো।
3.9 উত্তল দর্পণের ক্ষেত্রে ফোকাস দূরত্ব ও বক্রতা ব্যাসার্ধের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় কর।
=> উত্তরটি জানতে এখানে ক্লিক করো।
3.10 গোলীয় দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ কাকে বলে?
=> কোনো গোলীয় দর্পণের বক্রতলটির বক্রতা কেন্দ্র থেকে দর্পণের মেরুর দূরত্বকে বক্রতা ব্যাসার্ধ বলে।
3.11 অবতল দর্পণে প্রতিবিম্ব গঠন চিত্র অঙ্কণ কর।
=> a. বস্তুর অবস্থান যখন বক্রতা কেন্দ্রের বাইরে।
b. বস্তুর অবস্থান যখন বক্রতা কেন্দ্রে
c. বস্তুর অবস্থান যখন ফোকাস ও বক্রতা কেন্দ্রের মাঝামাঝি।
d. বস্তুর অবস্থান যখন ফোকাসে।
e. অবস্থান যখন মেরু ও ফোকাসের মাঝামাঝি।
3.12 উত্তল দর্পণে প্রতিবিম্ব গঠন চিত্র অঙ্কণ কর।
=> উত্তরটি জানতে এখানে ক্লিক করো।
3.13 আলোর প্রতিসরণের সূত্র দুটি লেখ?
=> প্রথম সূত্র- আপতিত রশ্মি, প্রতিসৃত রশ্মি ও আপতন বিন্দুতে অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে থাকে।
দ্বিতীয় সূত্র- দুটি নির্দিষ্ট মাধ্যমের জন্য নির্দিষ্ট বর্ণের আলোকরশ্মির ক্ষেত্রে আপতন কোণের sine ও প্রতিসরণ কোণের sine এর অনুপাত সর্বদা ধ্রুবক থাকে। এটি স্নেলের সূত্র নামে পরিচিত।
3.14 প্রিজমে সাদা আলো পড়লে সাতটি রঙে বিভাজিত হয় কেন?
=> সাদা আলো আসলে সাতটি মৌলিক রং দিয়ে গঠিত। যেগুলি হলো- বেগুনি, নীল, আকাশি, সবুজ, হলুদ, কমলা, ও লাল। এদের প্রত্যেকটির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য পৃথক। সেজন্য এদের প্রতিসরাঙ্ক ভিন্ন। তাই তারা পৃথক প্রতিসরণ কোণে প্রতিসৃত হয়। প্রিজমের দুটি তল থাকায় দুটি তলে দুইবার রং গুলি প্রতিসৃত হয়ে একে অপরের থেকে দূরে সরে যায়।
3.15 প্রিজমের মধ্য দিয়ে আলোর প্রতিসরণের চ্যুতি কোণ এর মান নির্ণয় কর।
=> উত্তরটি জানতে এখানে ক্লিক করো।
3.16 কাঁচ ফলকে প্রতিসরণের ফলে আলোকরশ্মির চ্যুতি হয় না কেন?
=> উত্তরটি জানতে এখানে ক্লিক করো।
3.17 লেন্সের উন্মেষ কাকে বলে?
=> লেন্সের গোলীয় তলদুটির ছেদবিন্দুর দূরত্বকে উন্মেষ বলে।
3.18 লেন্সের প্রধান অক্ষ কাকে বলে?
=> লেন্সের দুই তলের বক্রতাকেন্দ্র যুক্তকারী রেখাকে প্রধান অক্ষ বলে।
3.19 লেন্সের প্রথম মুখ্য ফোকাস কাকে বলে?
=>
প্রধান অক্ষের উপর অবস্থিত যে বিন্দু থেকে অপসারী আলোকরশ্মি গুচ্ছ (উত্তল লেন্সের ক্ষেত্রে) অথবা যে বিন্দুর অভিমুখে আগত অভিসারী লেন্সের আলোক রশ্মি গুচ্ছ ( অবতল লেন্সের ক্ষেত্রে) লেন্সের মধ্য দিয়ে প্রতিসৃত হওয়ার পর প্রধান অক্ষের সমান্তরাল হয় তাকে ওই লেন্সের প্রথম মুখ্য ফোকাস বলে।
3.20 লেন্সের দ্বিতীয় মুখ্য ফোকাস কাকে বলে?
=>
প্রধান অক্ষের সমান্তরাল রশ্মি লেন্স দ্বারা প্রতিসৃত হওয়ার পর যে বিন্দুতে মিলিত হয় (উত্তল লেন্সের ক্ষেত্রে) অথবা যে বিন্দু থেকে আসছে বলে মনে হয় (অবতল লেন্সের ক্ষেত্রে) তাকে ওই লেন্সের দ্বিতীয় মুখ্য ফোকাস বলে।
3.21 লেন্সের ক্ষমতা কাকে বলে?
=> ফোকাস দৈর্ঘ্যের অনোন্যককে লেন্সের ক্ষমতা বলে।
3.22 পাতলা লেন্স কাকে বলে?
=> লেন্সের উন্মেষ যদি বক্রতা ব্যাসার্ধ অপেক্ষা অনেক ছোটো হয় তাহলে সেই লেন্সকে পাতলা লেন্স বলে।
3.23 গৌণ ফোকাস কাকে বলে?
=>
ফোকাস তলের প্রতিটি বিন্দুকে (মুখ্য ফোকাস বিন্দু বাদে) গৌণ ফোকাস বলে। অথবা সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ ( তবে প্রধান অক্ষের সঙ্গে নয়) লেন্স দ্বারা প্রতিসৃত হয়ে যে বিন্দুতে মিলিত (উত্তল লেন্স) হয় কিংবা যে বিন্দু থেকে আসছে বলে মনে হয় (অবতল লেন্স) তাকে গৌণ ফোকাস বিন্দু বলে।
3.24 কোনো উত্তল লেন্সের আলোককেন্দ্র বলতে কী বোঝায় ?
=> উত্তল লেন্সের আলোক কেন্দ্রে এমন একটি বিন্দু যা প্রধান অক্ষে ও লেন্সের ভিতরে অবস্থান করে এর মধ্য দিয়ে আলোকরশ্মি গমন করলে দেখা যাবে লেন্সে আপতিত ও প্রতিসৃত রশ্মি পরস্পরের সমান্তরাল হয়।
3.25 উত্তল লেন্সকে অভিসারী লেন্স বলে কেন?
=> উত্তল লেন্সে সমান্তরাল আলোকরশ্মি প্রতিসৃত হয়ে একটি বিন্দুতে মিলিত হয় অর্থাৎ তারা কাছাকাছি চলে আসে। এই জন্য উত্তল লেন্সকে অভিসারী লেন্স বলে।
3.26 অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলে কেন?
=> অবতল লেন্সে সমান্তরাল রশ্মি প্রতিসৃত হয়ে একে অপরের থেকে দূরে চলে যায়। এইজন্য অবতল লেজকে অপসারী লেন্স বলে।
3.27 বস্তুর বিভিন্ন অবস্থানে উত্তল লেন্স দ্বারা প্রতিবিম্ব গঠন দেখাও।
=> a. বস্তুর অবস্থান যখন 2f এর থেকে বেশি।
b. বস্তুর অবস্থান যখন 2f অবস্থানে
c. বস্তুর অবস্থান যখন f ও 2f এর মাঝামাঝি
d. বস্তুর অবস্থান যখন f দূরত্বে
e. বস্তুর অবস্থান যখন f এর কম দূরত্বে
3.28 অবতল লেন্সের দ্বারা প্রতিবিম্ব কেমন হয়?
=>
বস্তু- AB, প্রতিবিম্ব- A’B’, প্রতিবিম্বটি- অসদ্ , সমশীর্ষ, আকারে ছোটো
3.29 রৈখিক বিবর্ধন বলতে কী বোঝায়?
=> কোনো দর্পণ বা লেন্স দ্বারা প্রতিবিম্ব গঠিত হলে প্রতিবিম্বের দৈর্ঘ্য ও বস্তুর দৈর্ঘ্যের অনুপাতকে রৈখিক বিবর্ধন বলে।
∴ রৈখিক বিবর্ধন=\frac{প্রতিবিম্বের\; দৈর্ঘ্য}{বস্তুর\;দৈর্ঘ্য}
3.30 কোনো বস্তুর রৈখিক বিবর্ধন 1.5 বলতে কী বোঝায়?
=> এর অর্থ হল দর্পণ বা লেন্সে উৎপন্ন প্রতিবিম্বটি বস্তুর আকারের তুলনায় 1.5 গুণ।
3.31 উত্তল লেন্স কখন অবতল লেন্সের মতো কাজ করে?
বা কী শর্তে উত্তল লেন্স অবতল লেন্সের মতো আচরণ করে?
=> যদি উত্তল লেন্স এর বাইরের মাধ্যমটি ঘন মাধ্যম হয় তবে উত্তল লেন্স অবতল লেন্সের মতো আচরণ করে। যেমন জলের তলায় বায়ুর বুদবুদ।
3.32 অবতল লেন্স কখন অভিসারী লেন্স হিসেবে কাজ করে?
=> যখন অবতল লেন্সের বাইরের মাধ্যম ঘন মাধ্যম হয় তখন অবতল লেন্স অভিসারী লেন্সের মত কাজ করে।
3.33 সরল ক্যামেরার গঠন বর্ণনা কর।
বা সরল ক্যামেরার কার্যনীতি আলোচনা কর।
=> উত্তরটি জানতে এখানে ক্লিক করো।
3.34 আলোর বিচ্ছুরণ কাকে বলে?
=>
সাদা আলো যখন কোনো প্রতিসারক মাধ্যম দিয়ে যায় তখন আলো দৃশ্যমান সাতটি বর্ণে বিভাজিত হয় এবং যতই রশ্মিগুলি পথ অতিক্রম করে একে অপরের থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। আলোর এই ঘটনা কে বিচ্ছুরণ বলে।
3.35 আলোর বিচ্ছুরণ এর কারণ কী?
=> কোনো প্রতিসারক মাধ্যমে বিভিন্ন বর্ণের বেগ বিভিন্ন হয়। ফলে বর্ণের প্রতিসরাঙ্কও বিভিন্ন হয়ে থাকে। তাই সকল বর্ণ একই আপতন কোণের আপতিত হলেও প্রতিসরণের পর তারা বিভিন্ন প্রতিসরণ কোণে নির্গত হয়। যাকে সার্বিক ভাবে বিচ্ছুরণ বলা হয়।
3.36 আলোর বিক্ষেপণ কাকে বলে?
=> বায়ু মাধ্যম দিয়ে যখন আলোক রশ্মি সমান্তরালভাবে গমন করে তখন সেই আলো মাধ্যমের কণা দ্বারা শোষিত হয়ে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পরে। এই ঘটনাকে বিক্ষেপণ বলে। বিজ্ঞানী র্যালে প্রমাণ করেন যে বিক্ষেপণের তীব্রতা আলো তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের চতুর্থ ঘাতের ব্যস্তানুপাতী (I ∝ \frac{1}{\lambda^4} )
3.37 দিনের বেলা পৃথিবী আকাশ নীল দেখায় কেন ?
আকাশ নীল রং দেখার মূল কারণ হলো আলোর বিক্ষেপণ ধর্ম। বায়ু মাধ্যম দিয়ে আলো যখন গমন করে তখন সাদা আলোর সাতটি রং বাতাসের কণাদ্বারা শোষিত ও বিক্ষিপ্ত হয়। বিজ্ঞানী র্যালের দেখিয়েছেন বিক্ষেপণের তীব্রতা আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের চতুর্থ ঘাতের ব্যস্তানুপাতী (I ∝ \frac{1}{\lambda^4} )। যেহেতু বেগুনি, নীল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কম তাই এগুলি বায়ু মাধ্যম দিয়ে যত অগ্রসর হয় ততই ছড়িয়ে পড়ে। সূর্য থেকে আগত দৃশ্যমান আলোতে বেগুনির পরিমাণ কম। তাছাড়াও বেগুনি আলোর চেয়ে নীল আলোয় মানুষের চোখ বেশি সংবেদনশীল। সেজন্য আকাশকে নীল দেখায়।
অন্যান্য লিঙ্ক
চল তড়িৎ
পরমাণুর নিউক্লিয়াস
পর্যায় সারণি এবং মৌলদের ধর্মের পর্যায়বৃত্ততা
তড়িৎ প্রবাহ ও রাসায়নিক বিক্রিয়া
আয়নীয় ও সমযোজী বন্ধন
দশম শ্রেণী ভৌত বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর